আপনি কোন জেনারেশনের?
কাজলকান্তি কর্মকার [M:9933066200]: আমরা ভারতীয়রা যুগের ধারণার সঙ্গে খুব পরিচিত। প্রাচীন
শাস্ত্রে যেমন সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ আর কলিযুগ— এভাবে সময়কে ভাগ করা হয়েছে, তেমনি আধুনিক সমাজেও সময়কে মানুষের অভিজ্ঞতা ও জীবনধারার ভিত্তিতে ভিন্ন নামে চিহ্নিত করা হয়। তবে এখানে নামকরণ হয় প্রজন্ম বা Generation ধরে। একেকটি প্রজন্ম মানে হলো এমন একদল মানুষ, যারা একই সময়ে জন্মেছে এবং প্রায় একই ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রভাবের মধ্যে বড় হয়েছে। ফলে প্রতিটি প্রজন্মের মানসিকতা, অভ্যাস, দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনযাত্রা অন্য প্রজন্ম থেকে আলাদা হয়ে ওঠে। বিশ্বজুড়ে আজ সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য একটি কাঠামোর মাধ্যমে ১৯২৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মানুষকে কয়েকটি ভিন্ন প্রজন্মে ভাগ করা হয়েছে— যেমন Silent Generation, Boomers, Gen X, Gen Y, Gen Z সর্বশেষ Gen Alpha, পরেরটা হতে পারে Gen Beta (2025–2040?)। সাধারণত একটি প্রজন্ম প্রায় ১৫–২০ বছর ধরা হয়। কারণ, এই সময়ের মধ্যে নতুন বাবা-মা গোষ্ঠী তৈরি হয় এবং তাদের সন্তানরা নতুন ধরনের সামাজিক অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় হতে থাকে। প্রতিটি প্রজন্মের রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য, যা তাদের ইতিহাস, প্রযুক্তি ও সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।বিভিন্ন সময়ে জন্ম নেওয়া মানুষের একটি গোষ্ঠী, যারা একই ঐতিহাসিক ঘটনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে বড় হয়, তাদের মধ্যে কিছু সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গড়ে ওঠে। এই প্রজন্মগুলোই যুগে যুগে বিশ্বকে নতুন পথে চালিত করেছে। নিচে জন্মসাল অনুযায়ী ছয়টি প্রধান প্রজন্ম এবং তাদের সম্ভাব্য উত্তরসূরি Gen Beta-র একটি বিশ্লেষণমূলক চিত্র তুলে ধরা হল।
Silent Generation (1928–1945): ট্যাগলাইন: “Duty, Discipline & Sacrifice”। এই প্রজন্মের শৈশব কেটেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মন্দার কঠিন পরিস্থিতিতে। এর ফলস্বরূপ, তারা কর্তব্যবোধ ও নিয়ম মানাকে জীবনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তাদের শান্ত স্বভাব, নিয়মানুবর্তিতা এবং প্রতিকূলতা সহ্য করার ক্ষমতা সমাজে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছিল।
Boomers (1946–1964): ট্যাগলাইন: “Optimism & Prosperity” যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক বুম-এর মাঝে এদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এরা এক বিশাল কর্মীবাহিনী তৈরি করে। তারা স্থিতিশীল চাকরি, পরিবার আর বাড়ি গড়ার দিকে মনোযোগী ছিল। এই প্রজন্মই নাগরিক অধিকার ও নারী অধিকারের মতো বড় সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়, যা আধুনিক সমাজ গঠনে মূল ভিত্তি স্থাপন করে।
Gen X (1965–1980): ট্যাগলাইন: “Independent & Skeptical” রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ঠাণ্ডা যুদ্ধের আবহে বেড়ে ওঠা এই প্রজন্মকে প্রায়শই 'মধ্যবর্তী প্রজন্ম' বলা হয়। তারা আত্মনির্ভরশীল এবং কাজ-জীবনের ভারসাম্য খোঁজার ক্ষেত্রে অগ্রগামী। প্রযুক্তির প্রথম পরিবর্তন (ক্যাসেট থেকে কম্পিউটার) এদের হাত ধরেই শুরু। তারা কিছুটা সংশয়বাদী হলেও স্থিতাবস্থা ও পরিবর্তনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।
Gen Y / Millennials (1981–1996): ট্যাগলাইন: “Digital Pioneers” এরা হল ইন্টারনেট, মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রথম ব্যবহারকারী। গ্লোবালাইজেশন, স্টার্টআপ কালচার ও চাকরির প্রতিযোগিতার মাঝে এদের কর্মজীবন শুরু। তারা অভিজ্ঞতা ও মূল্যবোধকে কেবল অর্থনৈতিক লাভের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় এবং সমাজের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি।
Gen Z (1997–2012) ট্যাগলাইন: “Digital Natives” জন্ম থেকেই ইন্টারনেট, স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে এদের বাস। এরা অত্যন্ত স্বাধীনচেতা, বহুমাত্রিক চিন্তাভাবনায় অভ্যস্ত এবং বৈচিত্র্যকে গ্রহণে স্বচ্ছন্দ। কোভিড-১৯ মহামারী তাদের শৈশব/কৈশোরের এক বড় অভিজ্ঞতা। তাদের সৃজনশীলতা ও দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা অতুলনীয়।
Gen Alpha (2013–2025): ট্যাগলাইন: “AI & Screen Generation” এরা পুরোপুরি ডিজিটাল লার্নিং-এর জগতে বড় হচ্ছে। ট্যাব, স্মার্ট ডিভাইস, ইউটিউব, এডটেক অ্যাপস এদের কাছে শিক্ষণের মাধ্যম। AI, অটোমেশন আর জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাবের মধ্যে এদের ভবিষ্যৎ তৈরি হবে। এদের চিন্তাধারা ও শিক্ষণ পদ্ধতি পূর্বের সব প্রজন্ম থেকে ভিন্ন হবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম: Gen Beta (2025–2040?): সম্ভাব্য ট্যাগলাইন: “Born into AI World” যদি বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকে, তবে Gen Beta হবে এমন এক প্রজন্ম, যাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবট, ক্লাইমেট ক্রাইসিস ও বায়োটেক দ্বারা আরও নিবিড়ভাবে প্রভাবিত এক পৃথিবীতে। তাদের সামাজিক ও কর্মজীবনের সংজ্ঞা হয়তো আমরা আজ যেভাবে ভাবছি, তা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। [•তথ্য সূত্র ইন্টারনেট। ছবি AI]
#ghatal #Daspur #Chandrakona #SDO #reporter ##news #reporter #Map #Kajalkanti #Arattai #India #Generation # Gen_Z #Gen_Alpha

শাস্ত্রে যেমন সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ আর কলিযুগ— এভাবে সময়কে ভাগ করা হয়েছে, তেমনি আধুনিক সমাজেও সময়কে মানুষের অভিজ্ঞতা ও জীবনধারার ভিত্তিতে ভিন্ন নামে চিহ্নিত করা হয়। তবে এখানে নামকরণ হয় প্রজন্ম বা Generation ধরে। একেকটি প্রজন্ম মানে হলো এমন একদল মানুষ, যারা একই সময়ে জন্মেছে এবং প্রায় একই ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রভাবের মধ্যে বড় হয়েছে। ফলে প্রতিটি প্রজন্মের মানসিকতা, অভ্যাস, দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনযাত্রা অন্য প্রজন্ম থেকে আলাদা হয়ে ওঠে। বিশ্বজুড়ে আজ সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য একটি কাঠামোর মাধ্যমে ১৯২৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মানুষকে কয়েকটি ভিন্ন প্রজন্মে ভাগ করা হয়েছে— যেমন Silent Generation, Boomers, Gen X, Gen Y, Gen Z সর্বশেষ Gen Alpha, পরেরটা হতে পারে Gen Beta (2025–2040?)। সাধারণত একটি প্রজন্ম প্রায় ১৫–২০ বছর ধরা হয়। কারণ, এই সময়ের মধ্যে নতুন বাবা-মা গোষ্ঠী তৈরি হয় এবং তাদের সন্তানরা নতুন ধরনের সামাজিক অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় হতে থাকে। প্রতিটি প্রজন্মের রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য, যা তাদের ইতিহাস, প্রযুক্তি ও সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।বিভিন্ন সময়ে জন্ম নেওয়া মানুষের একটি গোষ্ঠী, যারা একই ঐতিহাসিক ঘটনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে বড় হয়, তাদের মধ্যে কিছু সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গড়ে ওঠে। এই প্রজন্মগুলোই যুগে যুগে বিশ্বকে নতুন পথে চালিত করেছে। নিচে জন্মসাল অনুযায়ী ছয়টি প্রধান প্রজন্ম এবং তাদের সম্ভাব্য উত্তরসূরি Gen Beta-র একটি বিশ্লেষণমূলক চিত্র তুলে ধরা হল।







#ghatal #Daspur #Chandrakona #SDO #reporter ##news #reporter #Map #Kajalkanti #Arattai #India #Generation # Gen_Z #Gen_Alpha
💬কাজলকান্তি কর্মকার || রাজ্যের প্রথম শ্রেণির একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক
ঘাটাল || পশ্চিম মেদিনীপুর
MWT: 9933066200
eMail: ghatal1947@gmail.com
www.myghatal.com
www.myghatal.com
Comments
Post a Comment