■কাজলকান্তি কর্মকার [সাংবাদিক, ‘বর্তমান’ পত্রিকা ♦MWT: 9933066200]: নিয়ম বিরুদ্ধভাবে লেখার মাঝে ইচ্ছে খুশি ডট(.) বসাবেন না
নিয়ম বিরুদ্ধভাবে লেখার মাঝে ইচ্ছে খুশি ডট(.) বসাবেন না
■কাজলকান্তি কর্মকার: এই লেখাটি বেশ পুরানো। কয়েক বছর আগে আমার টাইমলাইনেই পোস্ট করে ছিলাম। মনে হল আবার পোস্ট করা দরকার, তাই করলাম। যে বিষয়ের উপর আলোচনা করব সেই বিষয়টি সম্বন্ধে অনেকেরই স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। তাই তাঁদের কাছে এই লেখাটা হাস্যকর হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সাধারণ প্রকাশনার প্রকাশিত লেখাতে এখনও ভুলটি চোখে পড়ে। খুবই অস্বস্তি লাগে। এমনকি যাঁরা নিয়মিত সাহিত্য চর্চা করেন কবিতা, গল্প লিখেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই এই বিন্দুর(.) প্রয়োগ ভুলভাবে করেন। সেজন্য আবার পোস্ট করলাম। কারণ, অনেকের ধারণা লেখার মাঝে ডট(.) ডিজাইন বা সৌন্দর্যের একটা অংশ, বাক্যের পাশে মানানসই যতগুলো খুশি দেওয়া যেতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট, মন্তব্য, মেসেজ বা গল্প, কবিতা লিখতে গিয়ে ইচ্ছে খুশি ডট (.) বসানোর ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। যেটা কাম্য নয়।
মনে রাখতে হবে— ! , . ? : ; ‘’ “ ” এইগুলো যেমন punctuation বা বিরামচিহ্ন সন্নিবেশ (যতিচিহ্ন সন্নিবেশ) ঠিক … এটাও (এই তিনটে ডট বা ফুটকি) একটা punctuation.
•যদি আমরা শুধু একটা . (ডট) বসাই তাহলে সেটা ইংরেজির পূর্ণচ্ছেদ হয় (বাংলার নয় কিন্তু)।কিন্তু কথার টান বা অসম্পূর্ণ কথা বোঝাতে এক সঙ্গে তিনটে ডটই বসাতে হয়। ওটাকে ইংরেজিতে ellipsis বলে। ওই ক্ষেত্রে দুটো বা অনেকগুলো বসানে যায় না। তিনটেই বসাতে হয়।
আবার বলি, ওই তিনটে ডট (...)কে ইংরেজিতে ellipsis এবং বাংলায় ‘ঊহ্য শব্দ’ বলা হয়। ডট বসানোর নিয়মটা একটু লক্ষ্য করে দেখুন—
•বিন্দুযতি /ডট
দুক্ষেত্রে ডট বসে। এক ক্ষেত্রে একটি ডট। অন্য ক্ষেত্রে তিনটি ডট। এর বাইরে কোনও ডট বসানো যায় না।
(১) শব্দ সংক্ষেপের জন্য একবিন্দু (.)। উদাহরণ: ড. আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম ( ‘ডক্টরেট’-কে সংক্ষেপ করতে ‘ড.’ করা হয়েছে। যেমন: বি.এ/বিএ, এম.এ/এমএ, পি.এইচ.ডি/পিএইচডি, ডি.লিট/ডিলিট।
সেই সঙ্গে ইংরেজির পূর্ণচ্ছেদ চিহ্নের জন্য (বাংলার নয়) এক বিন্দু (.) ব্যবহার করা হয়।
(২) আর কথা সংক্ষেপের জন্য ত্রিবিন্দু (…) বা ellipsis বসে। এটাকে ঊহ্য শব্দও বলে । উদা: আপনাকে অনেক কিছুই বলার আছে। না, থাক…। আপনি সেটা কী ভাববেন সেটাই ভয়ের কারণ। তবে ইংরেজিতে অনেক সময় পরপর চারটি ডট(.) দেখতে পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রথমের তিনটি ডট(.)‘ত্রিবিন্দু’ শেষের ডট(.)টি কিন্তু পূর্ণচ্ছেদ। সব মিলিয়ে চারটি।
(৩) অনেক ক্ষেত্রে কোনও প্রশ্নের উত্তর লেখার/ মন্তব্য লেখার জায়গা দেওয়ার জন্য অনেকে একাধিক ডট(.) বসিয়ে থাকেন। যেমন: ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম কী? ...........................................। কিন্তু এক্ষেত্রেও ডট(.) না দিয়ে একাধিক হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-) দেওয়া উচিত। যেমন: ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম কী? -------------------------------------।
♦হাতের কাছেই প্রমাণ পাবেন, হোয়াটসঅ্যাপে যখন অপর প্রান্ত থেকে কেউ টাইপ করেন লক্ষ্য করে দেখবেন ‘typing...' টাইপের পাশে তিনটে ডটই (...) দেওয়া থাকে। মোট কথা কথা গোপন রাখতে, শব্দ-বাক্য-পংক্তি-চরণ-স্তবক অথবা অনুচ্ছেদ উহ্য রাখতে ত্রিবিন্দু(…) বা ellipsis বসাতে হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই না জেনে ত্রিবিন্দুর বেশি ব্যবহার করেন। কিছুটা আনলিমিটেড কলের মতো…😊FaceBook
#punctuation #ellipsis #typing #Dot #ত্রিবিন্দু #যতিচিহ্ণ #Kajalkanti_Karmakar #Reporter #Ghatal #Daspur #Chandrakona #Karmakar #কাজলকান্তি_কর্মকার
💬কাজলকান্তি কর্মকার || রাজ্যের প্রথম শ্রেণির একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিক
ঘাটাল || পশ্চিম মেদিনীপুর
M&W: 9933066200
eMail:
ghatal1947@gmail.com

Comments
Post a Comment