আমাদের সুপাত্র চাই...



•উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের যুবতীরা যে ‘জগতে’ বাস করা শুরু করেছে তার ফলে অভিভাবকরা খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। একটি যুবতী এক একটি শ্রেণী অতিক্রম করার পর পড়াশোনার মানের কতটা অগ্রগতি করতে পেরেছে সেটা নিয়ে তাদের চিন্তা যতটা না থাকে তার থেকেও বেশি ভাবনা থাকে তাদের ভাবি স্বামীকে নিয়ে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, তারা নিজে পছন্দ করুক কিম্বা বাড়ি থেকে দেখাশোনা করে দেওয়া হোক, প্রায় ৮০ শতাংশ যুবতী এমন ধরনের পাত্র চায় শ্বশুর বাড়িতে তাকে যেন কোনও দায়িত্ব সামলাতে না হয়। রান্নাবান্না তো নয়ই নয়, এমনকী বাচ্চা সামলানোর জন্যও যেন তাদের লোক সরবরাহ করা হয়। তাদের প্রাত্যহিক রুটিনটা হবে—সময় মতো ঘুম থেকে উঠবে, ইচ্ছে মতো সাজগোজ করবে, অন্যের রান্না করা খাবার খাবে, বিকেলে স্বামীর বাইক বা চারচাকায় ঘুরতে যাবে, সপ্তাহে দুদিন রেঁস্তোরায় খাবে, রাতে ও অবসর সময়ে সোস্যাল মিডিয়া বা টিভির রিমোট নিয়ে সময় কাটাবে। ওই সমস্ত যুবতীদের যোগ্যতাটা কী? কেউ পাশ কোর্সে পড়ছে কেউ বা টেনেটুনে অনার্স টিকিয়ে রেখেছে। দেখা গিয়েছে, যে যুবতী বাস্তব জীবনে যত বেশি অকর্মন্য বা অপদার্থ, তার স্বপ্নটাও ততই হাই-ফাই। এই সমস্ত যুবতীদের বাড়ির লোকেরা তাদের পাত্রস্থ করতে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। যেপাত্রেরই সন্ধান দেওয়া হচ্ছে, কলেজ পড়ুয়া বা সদ্য পাশ করা যুবতী নাকচ করে দিচ্ছে। পরিবারের সামর্থ্য এবং নিজের যোগ্যতা বিচার করার বুদ্ধি তারা লোপ করে ফেলেছে। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির পরিবেশ বিয়ের আগের স্বপ্নের সঙ্গে না মিললেই তারা মানসিক বিষাদে ভুগতে থাকে। আর তার প্রভাব পড়ে দুই পরিবারের ওপর।

💬কাজলকান্তি কর্মকার ||  রাজ্যের প্রথম শ্রেণীর একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিক
ঘাটাল || পশ্চিম মেদিনীপুর
M&W: 9933066200
eMail: ghatal1947@gmail.com

Comments

Popular posts from this blog

DigiPIN ডিজিপিন—নতুন ভারতের ঠিকানা!

রবীন্দ্র কৌশিক: ভারতের অবহেলিত বীর #Ravindra Kaushik

আগামী দিনে ‘যৌনকর্মী’ শব্দটা কি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে? #Prostitute