আগামী দিনে ‘যৌনকর্মী’ শব্দটা কি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে? #Prostitute

 

পরকীয়ার রমরমা  বাজারের জন্য আগামী দিনে কি ‘যৌনকর্মী’ শব্দটা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে?

♦📝Kajalkanti Karmakar [সাংবাদিক, ‘বর্তমান’ পত্রিকা •M>9933066200]: পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে পরকীয়ার প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। একসময় যেখানে গোপনে সীমিত কিছু মানুষের মধ্যেই এরকম সম্পর্ক সীমাবদ্ধ থাকত, আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, কর্মক্ষেত্রের ঘনিষ্ঠতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও মানসিক

শূন্যতার কারণে পরকীয়া যেন এক প্রাত্যহিক বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতা কেবল পারিবারিক কাঠামোতেই সঙ্কট তৈরি করছে না, বরং এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে পেশাদার যৌনকর্মীদের জীবিকার উপর। যাদের কাছে পুরুষেরা একসময় শারীরিক সম্পর্কের জন্য যেতেন, আজ তাঁদের রুজিতে টান পড়ছে। কেন বাড়ছে পরকীয়া? মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, পরকীয়ার কারণগুলো বহুমুখী এবং জটিল। এর মধ্যে প্রধান কিছু কারণ হল: •মানসিক বিচ্ছিন্নতা: অনেক দম্পতির মধ্যে আবেগিক দূরত্ব বা মানসিক বোঝাপড়ার অভাব দেখা যায়। দৈনন্দিন জীবনের চাপ, একঘেয়েমি, এবং পুরোনো সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা এর অন্যতম কারণ। এই শূন্যতা পূরণ করতে গিয়ে অনেকেই পরকীয়ার আশ্রয় নেন। •শারীরিক অসন্তুষ্টি: দাম্পত্য জীবনে শারীরিক বা যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি অসন্তুষ্টি থাকে, তবে অনেক মানুষ সেই চাহিদা পূরণের জন্য নতুন সম্পর্কের দিকে ঝুঁকতে পারেন। •নতুনত্বের খোঁজ: দীর্ঘদিন একই সম্পর্কে থাকার ফলে অনেকে নতুনত্ব বা অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। •ইন্টারনেটের প্রভাব: সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডেটিং অ্যাপের সহজলভ্যতা পরকীয়া সম্পর্ককে আরও সহজ করে তুলেছে। খুব সহজেই মানুষ নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে, যা তাদের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। •সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন: একসময় পরকীয়াকে যেখানে একটি গুরুতর সামাজিক অপরাধ হিসেবে দেখা হতো, এখন শহরাঞ্চল থেকে গ্রামীণ পরিসর পর্যন্ত অনেকেই এই বিষয়টিকে ব্যক্তিগত পছন্দ হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। যৌনকর্মীদের কাছে কেন যেতেন পুরুষেরা? ঐতিহ্যগতভাবে, পুরুষেরা বিভিন্ন কারণে যৌনকর্মীদের কাছে যেতেন। সেই কারণগুলোর মধ্যে কিছু প্রধান কারণ হল: •গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা: অনেক পুরুষ গোপনীয়তা বজায় রেখে শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে চান। যৌনকর্মীদের কাছে গেলে কোনো দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ঝামেলা থাকে না। •দাম্পত্যের অভাব পূরণ: বিবাহিত পুরুষদের মধ্যে যাদের দাম্পত্য সম্পর্কে অশান্তি বা চাহিদা পূরণ হয় না, তারা প্রায়শই যৌনকর্মীর শরণাপন্ন হন। •শারীরিক চাহিদা: অবিবাহিত পুরুষ বা যাদের দাম্পত্য জীবনে শারীরিক চাহিদা পূরণ হয় না, তারা এই পেশার মানুষের কাছে যেতেন। •নতুন অভিজ্ঞতা: অনেকে নতুন ধরনের শারীরিক অভিজ্ঞতা লাভের জন্য এই পেশার মানুষদের কাছে যান। পরকীয়ার ফলে যৌনকর্মীদের রুজিতে টান সাম্প্রতিক সময়ে পরকীয়ার ব্যাপক প্রসারের ফলে এই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। আগে যেসব পুরুষ গোপনে যৌনকর্মীদের খুঁজে যেতেন, তাঁদের অনেকেই এখন পরিচিত মহিলার সঙ্গেই সম্পর্ক তৈরি করে নিচ্ছেন। ফলে যৌনকর্মীদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমছে। শহরের যৌনপল্লিগুলোতে এখন আগের মতো ভিড় নেই। কিছু যৌনকর্মীর বক্তব্য, আগে তাঁদের কাছে প্রতিদিন গড়ে যে সংখ্যক পুরুষ আসতেন, এখন তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। অনেকেই বলছেন, একসময় যে মানুষ সংসার বাঁচাতে গোপনে আমাদের খুঁজতেন, আজ তারা সহজেই নিজের পরিচিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। এতে আমাদের কাজ কমে যাচ্ছে। সামাজিক প্রভাব ও সমাধানের পথ পরকীয়ার ফলে শুধু যৌনকর্মীদের অর্থনৈতিক সমস্যাই তৈরি হচ্ছে না, বরং সমাজে আরও নানা সংকট দেখা দিচ্ছে। এর ফলে সংসার ভাঙন, বিবাহবিচ্ছেদ, এবং সন্তানের মানসিক বিপর্যয়—সব মিলিয়ে সামাজিক কাঠামো নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে যৌনকর্মীরা একটি নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন। আগে যেখানে তাঁদের পেশা অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল, আজ সেই জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। ফলে কেউ কেউ বিকল্প জীবিকার সন্ধান করছেন, আবার কেউ সমাজের মূলধারায় ফিরতে চাইলেও নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরকীয়া এবং যৌনকর্মীদের কাছে যাওয়া—দুটোই একপ্রকার 'ফাঁক পূরণের চেষ্টা'। দাম্পত্য সম্পর্কে আন্তরিকতা, বোঝাপড়া এবং পরস্পরের প্রতি সম্মান যদি থাকে, তাহলে এসব প্রবণতা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বিবাহিত দম্পতিদের জন্য কাউন্সেলিং খুবই জরুরি। সমাজকর্মীরাও মনে করছেন, যৌনকর্মীদের বিকল্প জীবিকার সুযোগ করে দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এই সমস্যার মূল কারণগুলো খুঁজে বের করে তার সমাধানের চেষ্টা করাই এখন সময়ের দাবি।

#Prostitute #ghatal #Daspur #Chandrakona #SDO #reporter ##news #reporter #Map #Kajalkanti

Comments

Popular posts from this blog

DigiPIN ডিজিপিন—নতুন ভারতের ঠিকানা!

রবীন্দ্র কৌশিক: ভারতের অবহেলিত বীর #Ravindra Kaushik