Posts

অপরিচিতদের ‘কাকু-কাকিমা, জেঠু-জেঠিমা, মাসি-মেসো’ বলে সম্বোধন করাটা ঠিক নয়

Image
অপরিচিতদের  ‘কাকু-কাকিমা, জেঠু-জেঠিমা, মাসি-মেসো’ বলে সম্বোধন করাটা ঠিক নয়   কাজলকান্তি কর্মকার:  সম্বোধনের ভাষা কী হওয়া উচিৎ? সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে নানান প্রয়োজনে আমাদের সবাইকেই কথা বলতে হয়। আর সেই কথা বলার সময় বড়দের নাম ধরে ডাকা যায় না। কিছু না কিছু সম্বোধন করাটাই সৌজন্যতা বা ভদ্রতার প্রথম ধাপ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অপরিচিতদের সম্বোধন করতে গিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন কিছু বলে তাঁদের সম্বোধন করি যেটা তাদের কাছে মোটেই শ্রুতি মধুর লাগে না। বরং বিরক্তি বা অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠে। যেহেতু সেই অপরিচিত বা অর্ধ পরিচিতদের সঙ্গে বেশিক্ষণ কাটাতে হয় না তাই বিরক্তি বা অস্বস্তি কর শব্দে সম্বোধন করলেও অনেক ক্ষেত্রে তার প্রতিবাদ হয় না। আজ মাতৃভাষা দিবসে  সেই সম্বোধন নিয়ে কয়েকটি কথা জানাতে ইচ্ছে করছে তাই লিখে ফেললাম। আমাদের প্রত্যেককেই কয়েকটি পরিবৃত্তের মধ্যে জীবন কাটাতে হয়। •পরিবার •আত্মীয় •পাড়া প্রতিবেশী •কর্মস্থল এবং •রাস্তাঘাট। আমরা পরিবার, আত্মীয়দের বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের নিরিখে সম্বোধন করি। কাউকে দাদা, বউদি, মাসি, পিসি, কাকু, জেঠু, মেসো, দাদু, ভাই, বোন—এই সব বলে স...

আধুনিক বাংলা বানান

 আবার খিস্তি খাব... •বেশ কয়েক মাস আগে ফেসবুক এবং ব্লকে একটি লেখা পোস্ট করে নানান খিস্তি খেয়েছিলাম। সাংবাদিকদের খিস্তি খাওয়া অভ্যেস রয়েছে। কারণ, বিতর্কিত বেশিরভাগ খবরই একটা পক্ষের বিরুদ্ধে যায়। তখনই সাংবদিকদের গুষ্টিসুদ্ধ উদ্ধার হয়ে যায়। যখন সংবাদপত্রে সেই খবর প্রকাশিত হয় তখন মন্তব্য করার জায়গা থাকে না তাই সেটাকে নিয়ে চায়ের টেবিলে সমালোচনা হয়। আর সোশ্যাল মিডিয়া হলে  লাগামহীন ভাষায় সরাসরি মন্তব্য। যে লেখাটি নিয়ে বেশ কিছু দিন খিস্তি খেয়েছিলাম সেটি হল, অ্যাডে ক্লিক করে টাকা আয়। লেখাটি পোস্ট করার সঙ্গে-সঙ্গে ওই কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধিরাও খিস্তির পাশাপাশি আমাকে হুমকিও দিতে ছাড়েননি। সম্প্রতি আবার একটি অ্যাড বেরিয়েছে। সেটা থেকেও নাকি মাসে বেশ কয়েক হাজার টাকা করে আয় করা যায়। সময়ের অভাবে লেখা শেষ করা গেল না কিন্তু আমার কয়েকটা প্রশ্ন: ➥যদি সেখান থেকে মোটা টাকাই আয় করা যাবে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের সদস্য হওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে কেন? তারাই তো দু-চার সপ্তাহ বিনে পারিশ্রমিকে খাটিয়ে নিয়ে তবে হাতে টাকা দেওয়া শুরু করতে পারত? ➥যেখানে গুগলের মতো এত বড় কোম্পানির অ্যাড সেন্সের অ্যাড ক্লিক করার জ...

জনপ্রিয়তার ঠেলায় ‘ভুল’টাই এখন ‘ঠিক’

Image
জনপ্রিয়তার ঠেলায় ‘ভুল’টাই এখন ‘ঠিক’ ■কাজলকান্তি কর্মকার [সাংবাদিক, ‘বর্তমান’ পত্রিকা ♦MWT: 9933066200] : মানুষ অভ্যেসের দাস। তাই অভ্যেস এমন একটা ব্যাপার, আপনি যা অভ্যেস করবেন সেটাই রপ্ত হয়ে যাবে। সেটা যদি ভুলও হয়। পরিচিতদের মধ্যে যদি কারোর নাম বিষ্ণু বা কৃষ্ণ থাকে তিনি জীবনে খুব কম সংখ্যক বারের জন্যই নিজের নামের সঠিক উচ্চারণটা অন্যের কাছ থেকে শোনার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তাঁদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ‘বিষ্টু’ বা ‘কিষ্ট’কেই মেনে নিতে হয়। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড বা আধারকার্ড সহ কিছু নথি ছাড়া তাঁরা বাবা-মায়ের দেওয়া নামটি সঠিকভাবে দেখার সুযোগ পান না। তেমনই আমাদেরকে আসেপাশে অনেক জিনিস আছে সেগুলোকে আমরা যে নামে ডাকি তার আসল নাম সেটাই নয়, আমরা অনেকেই সেই জিনিসটির আসল নামটাই জানি না। এই প্রতিবেদনে সেই রকম কয়েকটা বিখ্যাত জিনিসের সম্বন্ধে আলোচনা করছি। 1😳জেরক্স: আমরা যেটাকে জেরক্স মেশিন বলি সেটা কিন্তু আদপেও জেরক্স মেশিন নয়। ওটা ফটোকপি মেশিন। বিজ্ঞান সম্মত নাম জেরোগ্রাফিক মেশিন যেটাকে Electrophotographyও বলা হয় (Xerography মানে শুষ্ক-প্রতিরূপায়ণ। সিক্ত কোনও কিছু ব্যবহার না করে প্রতিলিপি তৈরি কর...

Laws Related To The Child Adoption Process In India

Image
Laws related to the child adoption process in India The adoption procedure in India is governed by specific legislations that are applicable depending on the religion of the person who wants to adopt (called the 'adopter') a child (who is the 'adoptee'). There are two major adoptions laws that apply to adopters in India: The Hindu Adoption and Maintenance Act, 1956 (HAMA) This act deals with the adoption process for all Hindus in India. For legal purposes under this Act, a Hindu is defined as any person who is a Hindu, Buddhist, Jain, Brahmo, Sikh, Prarthna or Arya Samaji. An important condition of this Act is that if a couple already has a biological child, they can only adopt children belonging to the opposite sex (i.e. a girl if they already have a boy and vice versa). All cases related to adoption are handled by the city civil courts under this Act. The Guardianship and Wards Act, 1890   This Act gives complete guardianship authority to all non-Hindus such as Christ...

‘কোটি টাকার অলিম্পিয়াড ব্যবসা...’

Image
‘কোটি টাকার অলিম্পিয়াড ব্যবসা...’ বাণিজ্যিক অলিম্পিয়াডের পদক ও শংসাপত্র কাজলকান্তি কর্মকার : লেখাটি সৌরভ দত্ত’র টাইমলাইন থেকে নেওয়া । এটা অনেক দিন আগেই ফেসবুকের আমার ফেসবুক টাইম লাইনে পোস্ট করা হয়েছিল। সেটাই আবার কপি করে এখানে পোস্ট করলাম।  বহু নামী বিদ্যালয় এই ধরনের বাণিজ্যিক অলিম্পিয়াড করাচ্ছে। যার কোনও ভবিষ্যত নেই। যেখানে প্রশ্নের ধরন থাকে এমসিকিউ (MCQ) এবং পুরস্কার হিসেবে স্কুলে স্কুলে সোনালি, রূপালি পদক দেওয়া হয়।  ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে হুগলির একটি ছাত্রকে নিয়েও এভাবে মাতামাতি হয়েছিল। তার ছবিটিও দিলাম। কিন্তুু আমি যেটুকু জানি, ম্যাথ অলিম্পিয়াড বলতে যেটা বোঝায় সেটার নাম ‘Indian National Mathematical Olympiad’. ওই পরীক্ষাটি সংগঠিত করায় National Board for Higher Mathematics (Department of Atomic Energy, Government of India) দপ্তর। আর এই অলিম্পিয়াড কৃতীদের সুন্দর একটা ইন্ডিয়া ন্যাশনাল ম্যাথমেটিক্যাল  অলিম্পিয়াডের সার্টিফিকেট ভবিষ্যতের পথ খুলে যায়। .তাই কোনও মেধাবী ছাত্রছাত্রী গণিত, রসায়ন, পদার্থ বিদ্যা —যেই অলিম্পিয়াডেই বসতে চাক না কেন তারা যেন বসার আগে ...

প্রত্যেকেরই ডিজিটাল লকার থাকা দরকার

Image
প্রত্যেকেরই ডিজিটাল লকার থাকা দরকার কাজলকান্তি কর্মকার   [সাংবাদিক|| ঘাটাল || মো: 9933066200] :  ডিজি-লকার ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে: এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স রাখলে আর লাইসেন্স বয়ে বেড়াতে হয় না।   কয়েক বছর আগে জন্ম হলেও বর্তমানে DigiLocker ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। ডিজিটাল লকার থেকে ডিজি-লকার কথাটি এসেছে। ♦যাদের আধার নম্বর আছে তার ইচ্ছে করলেই ডিজি-লকারের অ্যাপটি খুলতে পারেন। [•অ্যাপের লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.digilocker.android •ওয়েবসাইটের লিঙ্ক: https://digilocker.gov.in/ ] ডিজি-লকার: কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অ্যাপ। এটির সুবিধে এখানে যে সমস্ত নথি লিঙ্ক করা থাকবে সেটি অরিজিনাল হিসেবে ধরা হবে। এটি খোলার জন্য (১)আধার নম্বর, (২) স্থায়ী মোবাইল নম্বর, (৩)ইমেল প্রয়োজন। নিজের স্মার্ট ফোন না থাকলেও ইন্টারনেট সংযুক্তি রয়েছে এমন যে কোনও কম্পিটার থেকে এই ডিজি লকার খোলা যাবে। সুবিধে: এই লকারের মধ্যে দুটো ভাগ আছে। একটা সরকারের ইস্যু করা ফোল্ডার এবং অন্যটি আপলোডেড ফোল্ডার। আপলোডেড ফোল্ডারে আপনি আপনার পছন্দ মতো ১০ এমবি’র নিচে যেকোনও পিডিএফ, জেপিইজি ...

ঘাটালের করোনা: ‘শুনলাম সবই, সমাধান করাটাও জরুরি, কিন্তু আমরা অসহায়’

Image
ঘাটালের করোনা: ‘শুনলাম সবই, সমাধান করাটাও জরুরি,  কিন্তু আমরা  অসহায়’ কাজলকান্তি কর্মকার(৩ জুন ২০২০): ঘাটাল মহকুমায় করোনার পরীক্ষা, চিকিৎসা ক্রমশ অনিশ্চিৎ হয়ে পড়ছে।  আগামী দিনে কী হবে বলা মুশকিল! • রিপোর্ট প্রক্রিয়া: ঘাটাল  মহকুমা হাসপাতালে   ১১মে  থেকে ২৬ মে পর্যন্ত মোট ১৩০৫ জনের  লালা রস সংগৃহীত হয়েছিল। ১ জুন  পর্যন্ত ৭৭৪ জনের রিপোর্ট  এসেছে।  ওই  রিপোর্টের  ভিত্তিতেই জানা গিয়েছিল মহকুমায় ১৩ জন সংক্রমিত।  বাকি    ৫৩১ জনের  রিপোর্ট  এখনও আসেনি। ২৭ মে থেকে লালা রস  সংগ্রহ করা বন্ধ রয়েছে।(যদিও আজ  থেকে শুরু হওয়ার কথা  আছে)।  এর মধ্যে বাইরের রাজ্য থেকে  কয়েক হাজার মানুষ  এসেছেন, কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাঁদের কবে লালা রস পরীক্ষা করা হবে এবং কবে রিপোর্ট আসবে  তার উত্তর কেউ ই দিতে পারছেন না। •কোয়ারেন্টাইন:   ১৭মে’র  পর যাঁদের  এখনও রিপোর্ট আসেনি তাঁরা কোয়ারেন্টাইনে   ১৪ দিন থাকার  পর বাড়িতে চলে গিয়েছেন। বাড়ির লোকেদের সঙ্গে মিশছেন।...